Nayan | WritersCafe.org

Monday, December 23, 2019

Dekhne ki gunzaish nahi hai - देखने की गुंजाइश नहीं है!

ओ मां तेरी बात पुरानी,
लेकिन लागे क्यूं ये नई है?
हर दिन तुझसे सुन सुन कर ही,
अपनी कहानी मैंने खुद बुनी है।

इज्ज़त मिली, चमकते तारीफ़
के अल्फ़ाज़ भी मिले हैं,
पर सुकून को जो वह ढूंढता फिरता,
आज भी दिल में बेसुध चिरैया।

जिम्मेदारियों में नाम कमाया,
हौसलों में बुलंदियों को पाया,
कोशिशों में हमने समय को,
अनछुए को छूने में, कर दिया जाया।

लेकिन दिल में धड़कती
अब भी ख्वाहिश कहीं है,
जो छुपकर रहती,
पर हाय बुझती नहीं है।

दर दर भटक कर चतुराई को पाना,
क्या यही मेरे जिम्मे पड़ा है?
पुरानी सीखों को गंवाया था मैंने,
आज वही मेरे सिरहाने खड़ा है!

न कुछ पाने की चाह है,
न कहीं जाने का कोई राह है।
जो है वह यही है, यहीं है,
न जाने क्यूं बस देखने की 
गुंजाइश नहीं है!


-- नयन
२२ और २३ दिसंबर, २०१९
ईशा योग केंद्र से शुरू कर अरविंद आई अस्पताल में समापन - रात १०:५४ बजे।

Sunday, December 8, 2019

just there

Where the sky meets the sea
under the impression 
of a false union, 
where the eyes show 
what can't be true, but 
the mind wants to believe -
for the wish of a dream come true!


The sounds that "this one" hears,
one asked the other, do they come off you?
To which "that one" replied a question,
you feel the sensations that "this" feels?
One frowned at the other with a look
that betrayed satisfaction,
though one was silently feeling,
what the other had asked him to feel.
But the other, sensing the act of "this one's" face, 
replied in his own weird way...


That's a fact
that it arose off "this one".
But nothing does it matter
whether it came off "this" or "that"...
Still the sound that travels
through the corridors of waves,
and the drums that reverberate
to listen to understand... -
the fool does wonder -
anything does it unravel?


Behind the fact, you can run 
as much as you can,
but don't miss the truth!
This togetherness of nonsense
and profundity, that starts
from the words, but goes far beyond -
makes "this one" feel timeless!
Whether it is being stuck or free,
"this one" doesn't know - he just stares...
and "that one" just smiles...


This sound of the passing by,
this sight of the eternal flowing,
this movement that seems like a
still picture, but moving at the same time!
This hypnosis of the silence beneath,
this mesmerising presence,
often overlooked and unseen...
This sitting and listening
to the only sound of breath,
makes them realise
that it is neither mine nor yours,
it's just it; just there; happening.



-- Nayan
Sun, 8th Dec 2019
Isha Yoga Centre Coimbatore

Tuesday, November 12, 2019

Sei Din - সেই দিন

সেই দিন! - কী ছিল সেই দিন?
যে হঠাৎই দেখি লোকের মুখে
পুজোর ঢাক ঢোল পেটার আনন্দ,
মনের দেয়ালে টেরাকোটার মিষ্টি হাসি,
আর নিশপিশ করা হাতগুলি যেন
বুক উজাড় করে দিতে চায় উপহারে!

কেন, সেই দিনই কেন?
যে হঠাৎই উচ্ছ্বাস ঝাঁপিয়ে পড়ে
সংবাদের কন্ঠে ও কলমে,
অনেকদিন দেখা হয়নি সাথে বা 
কণ্ঠ শুনিনি যার, সেও জেগে ওঠে,
পৃথিবীকে আপন করে নেবার এত বড়
প্রতীক ও সুযোগ, দেখি চোখের সামনে!

সেই দিনটির মাঝ দিয়ে, ভাবি, যেতে যেতে -
সেকি শুধু আমার জন্য, নাকি
সেই দিনটিরও ছিল কোনও মাহাত্ম্য?
অনেকেই তো আসে, অনেকেই চলে যায় -
শুধু একদিন একজনকেই নিয়ে
এত মাতামাতি কেন হয়?
সেই দিনটি কেন এত মনে রয়ে যায়?

সেই দিনটিই যে ডাকলো কাছে, বলল ওরে! -
"বুঝতে পারা জীবনের" বাইরেও যে জীবন আছে!
চাইলে শুধু একবার তাকা তো নয়ন মেলে,
তোর সামনের বুকভরা জীবন্ত বন্ধুটাকে।
আর তক্ষুনি! সীমার মাঝে অসীমকে ছোঁয়ার 
ঝলক দেখি যেন হাসির মুখের চোখে -
যেন জীবনের মানে জীবনই দেয় দেখিয়ে!
 
জানতে পারা যে জানার আছে এত কিছু -
বুঝলাম তবে শেষে - এই যে শ্বাস নিচ্ছি,
বুঝতে পারছি প্রাণের স্পন্দন, 
হৃদয়ের রাগ - রাগিনী, উপলব্ধির দোরগোড়ায় 
পারছি হাঁটতে, নিজের পায়ে!
জানি, হবে শেষ সেই শুরুরও, ক্ষতি নেই!
সেই শুরু আর শেষের মাঝে বাঁচাটাই সব,
আর সেই উপহারটি দিয়েছে, ওই সেই দিন!

তাই দূরে পিছনে ফেলে আসা 
সেই দিনটার মনে রাখাকে আবার
ফিরিয়ে আনি, অস্বস্তির ভাবনাকে
হালকা করে দিই মিলিয়ে যেতে, আর 
সকলের কাছে খুলে আমন্ত্রণের দরজা,
পাতি কান প্রকৃতির শব্দের দিকে, 
শুরুর স্রোতে ভাসিয়ে নিজেকে যেন
বেঁচে উঠি আরও আরও আরও!

আগুনের জন্য চাই একটি ফুলকি ই -
সেই দিনটি যেন তারই যোগান দিয়ে গেল!
জীবনের মাঝে নিজেকে মেলে দিয়ে, 
এবার দুর্বার দিগন্তকে জড়িয়ে ধরতে 
চায় মন! ভেঙে টুকরো করে যেন 
বিলিয়ে দিতে পারি, আবার জুড়ে 
তৈরি করতে পারি, যেভাবে যখনই 
যেখানেই হোক প্রয়োজন - 
এক তীব্র জীবনের স্বাদে, 
নিজেকে উজাড় করে - 
এক নতুন আমিতে!


-- নয়ন
সোম, ১১ই নেম্বরের । মঙ্গল, ১২ ই নভম্বর, ২০১৯
ঈশা যোগ কেন্দ্র, কোয়েম্বাটুর

Monday, November 11, 2019

Nijer Thekeo Boro Ek Obhiggota নিজের থেকেও বড় এক অভিজ্ঞতা

নিজের থেকেও বড় এক অভিজ্ঞতা

সময়ের মাঠের সেই বিশাল চত্বরে, 
একসময় যা লাগতো অন্তহীন, কঠিন, 
নিজেকে তৈরির যখন চলছিল কাজ,
মাথাতেও আসেনি কিন্তু কখনও,
সত্যিই কি পারবো, কেমন করে হবে সেটা,
যখন শেষ - মেষ দাঁড়াতে পারবো!


বোধকে আমার করেছিল সীমিত
আমার দৃষ্টির দুর্বলতা, অনুভূতিকে আমার
রেখেছিল রুখে বন্ধ হৃদয়ের দরজা।
তাই থেমে গেলাম, বাকরুদ্ধ হয়ে,
যখন প্রথম পা বাড়ালাম গুটির বাইরে -
কী বিশাল, কী অসীম পুরো জিনিস টা!


সেকেন্ড মেলালো মিনিটের মাঝে,
মিনিট হারালো ঘনটায়, সময়
মেলে ধরলো খুলে নিজেকে
আমার অবাক চোখের পর্দায়!
অপার এসবকিছু লাগছিল আমার,
কাঁপছিলাম সংশয়ে - পারবো কি আমি!
আর তক্ষুনি একি দেখি চোখের সামনে -
আপনা থেকেই ঘটলো জাদু!


শুরুতেই হল ভুল, মনে যে ভয় -
যেন কৃপা থেকে দূরে না যাই সরে!
উফ, এত বাধ্য করে, 
বার বার মনকে দেয় নাড়িয়ে কেন?
চিন্তিত চিত্তে তাকাই বাইরের দিকে,
তারপর অন্তরের মাঝে, আর
শেষে ডাকি সদগুরুকে!


চেষ্টা করি আরও জোর দিয়ে,
কিছুতেই হয়না যে কিছুই!
কিন্তু যে মুহূর্তে দিলাম নিজেকে ছেড়ে,
নিলাম শ্বাস একটা আলতো করে,
তক্ষুনি যে হয়ে গেল, সত্যি হল!
শব্দগুলো শুনেছি এতবার, ভেবেছি সবই জানি!
এই প্রথম যেন আঁছরে পড়ল এমন করে!


যতক্ষণ ছিলাম আমি, তা যে ছিল না!
যেই দাঁড়ালাম সরে, পুরো বেগে নেমে এসে
ঘটল সে কী জোরে! কী অবিশ্বাস্য তা
মেলে দিল নিজেকে, নিজেই চললো হয়ে!
আর, নিজের বোকামি জেনে রইলাম দাঁড়িয়ে,
কী অবাধ, পবিত্র, দুর্বার গেল ছুঁয়ে,
মুসলধারের মতো ভিজিয়ে দিয়ে!


"পারবো না" - এর ভীতি থেকে বেরিয়ে,
তাঁর উপস্থিতিতে পুরোপুরি ভিজে যাওয়া!
এক্কেবারে অন্য কিছু আমাতে দেখলাম,
তখনই বুঝলাম, এ তো আমি নই,
এ তো আমার করাও কিছু নয় -
কিছুই যেন আমি পারি না করতে,
পারি শুধু কৃপার কোলে শিথিল হয়ে যেতে!


যখন সে জাদুর কবিতার এলো শেষ,
পা বাড়াতেই যেন থমকে গেলাম, পরম মুগ্ধ!
অনুভূতির রসে সিক্ত শরীর আমার,
যেন লাগলো কাঁপতে, চোখের জলে
যেন নয়নদুটি আমার হয়ে এলো বন্ধ,
আর কী ই বা চাইতে পারি আমি?
কেঁদে উঠলাম কাঁপা গলায়, 
নেমে এলো, কী জোরালো বন্যাসম -
তাঁতে মিলিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে!


-- নয়ণ
সোম, ১১ই নেম্বরের ২০১৯ (আমারই লেখা ইংরেজি মূল কবিতা থেকে বাংলাতে ভাষান্তর)
ঈশা যোগ কেন্দ্র, কোয়েম্বাটোর

ইংরেজি মূল কবিতাটি এখানে পড়তে পারেন: http://musical-poet.blogspot.com/2019/10/an-overwhelming-experience.html


"কৃপা হি কেবলম"

Thursday, October 24, 2019

An overwhelming experience

In that big bunch of time,
seeming arduous, unending
at times, where I 
prepared myself for this day,
never did cross my mind,
this thought of - if and how -
when I would finally stand!

By short-sightedness, was limited,
my perception, by closed-ness my feel,
that when ventured for the
first time, out of the cocoon
into the world, dumbstruck was I,
by a process so immense,
an experience so enormous!

As time unfolded itself,
by seconds, minutes and hours,
I saw in awe, pondering
over the whole process,
unfathomable it seemed.
Trembled I in fear, if I'm worthy,
if I could do justice, and as
my mind tried its own tricks,
before my eyes I saw magic!

Fumbled at the first instance,
fearing falling from grace,
unable to contain the compulsive
fluctuations of my mind,
worried I looked out,
then within, and
then to Sadhguru!

However harder I tried,
it didn't work, but the moment
I took a breath, and relaxed,
it happened!
The meaning of the words,
having listened so many times,
taken to have grasped,
came to me so deeply!

As long as I was, it didn't.
The moment I wasn't, it did!
The incredible magic I saw
happening all by itself,
as I stood knowing my foolishness,
the enormity of the process, and
the omnipresence of the sacred
touched me, left me wet with overwhelming-ness!

From the unsurety of "I can't do it",
to being soaked in his presence,
taken over by something else altogether,
realised I that it's not my doing,
nothing can I do, but just be,
simply relaxing into the lap of grace!

As the time of culmination came,
as I stepped out enthralled, dazed,
immensely drenched with experience,
the body started to shiver,
and tears clogged my eyes,
what more could I ever ask?
I cried out! And it came so strongly -
the wish to dissolve into!

--Nayan
Thu, 24th October 2019
On bus, way from Bangalore to Isha Yoga Centre Coimbatore

(A version of this poem in Bangla can be read at http://musical-poet.blogspot.com/2019/11/nijer-thekeo-boro-ek-obhiggota.html )

Monday, September 9, 2019

মাই হার্ট বিটস ফর কাবেরী! My heart beats for Cauvery #CauveryCalling

আবেগ ভরা কণ্ঠ ওনার,
"এগিয়ে এসো, আর করো না দেরি"!
মৃত্যু শয্যায় মা যে মোদের,
"মাই হার্ট বিটস ফর কাবেরী"!

শুনে ওনার এই আওহান,
ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃদ্ধ ও জোয়ান,
দিয়ে সাড়া শিশু, তরুণ, তরুণী,
ঢেলে দেয় তারা প্রাণ!

বহু কাল ধরে বইছে এ জল,
জীবন দায়িনি স্নিগ্ধ শীতল,
যার ছায়ায় হলাম বড়, দিলাম
তারই কোলে মরণ খাঁড়া!

একি হায়! কর্তব্য ভুলে,
দিলাম আঘাত জীবনের মূলে!
ডাকে যে কাবেরী মা,
হৃদয় আছে কি তোমার শোনার?

সে যে ডাক দিয়েছে কোন সকালে,
বেহুঁশ মোরা, ঘনিয়ে যে সন্ধ্যে এলো!
জেগে ওঠো, দাও যোগ, কাবেরীকে
বাঁচাতেই হবে, এবার তো খোলো চোখ!

এক দিনের প্রেম নয়,
এ বারো বছরের পণ!
আমার সঙ্গে থাকো, ধরো হাত,
লাগাই আমার শেষ জীবন!

বলে চলেন উনি, কাবেরীর প্রতি
জীবনের সকল কর্ম ঢালো দেখি,
মেয়ে শিশু জন্মালে তোমাদের ঘরে,
কথা দাও, ডাকবে তাকে কাবেরী!

নয়ন,
সোম, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
কোয়েম্বাটোর

আমি কী করে একটি নদীকে বাঁচাতে পারি?
তরুণ, তরুণী, শিশু ও বৃদ্ধ, সকলে এগিয়ে আসছেন...
আপনি কার অপেক্ষায় আছেন?

কবেরিকে বাঁচাতে সঙ্গে আসুন।
এই লিংকে নিজের অভিযান শুরু করুন।
cauverycalling.org

Visit cauverycalling.org and support the planting of trees.
Either Donate trees or Become a Fundraiser and reach out to your friends and family for Saving Cauvery river!

Sunday, September 8, 2019

क्या देख रहा हूं मैं! What am I witnessing! #CauveryCalling

मूसलाधार गिरती है बारिश,
हवाएं तेज हैं बह रहीं,
भीग उसमे चलता जाता
हौसलों से बुलंद एक दल,
और आगे चलता एक इंसान!
क्या देख रहा हूं मैं!

नदी बहे, देश न लड़े,
खुशहाल हो जन - जन,
किसान का जीवन हो आसान।
रुक न सकते, हो रही है देर -
कहते हैं वो, फिर निकल पड़ते!
क्या देख रहा हूं मैं!

एक दिन का प्यार नहीं,
ये बारह साल का संकल्प है!
लगे रहो, मेरे साथ रहो -
लोगों को, सरकारों को
वो याद बार - बार दिलाते हैं !
क्या देख रहा हूं मैं!

गोद में जिसकी खेला था मैं,
बड़ा हुआ जिसकी आंचल में,
तड़प रही वो हम से ही आज!
देखो - देखो वो मर रही!
पुकार रही है कावेरी मैया,
दिल है हममें सुनने को?

ये और विकल्प नहीं,
आन पड़ी जरूरत है अब।
आने वाली पीढ़ियों को
कैसा जीवन देंगे हम -
हल का हिस्सा बनने को वो कहते!
क्या देख रहा हूं मैं!

कावेरी मां को देंगे नई जान
लगाता हूं दाव पे शेष जीवन!
मांगे वो हमारा जीवन कर्म!
बच्चे, बूढ़े और जवान -
जुड़ते जाते उनकी पुकार पे!
क्या देख रहा हूं मैं!

नयन,
८ सितम्बर २०१९
सुबह ६:१०
बेंगलुरु

मैं एक नदी को कैसे बचा सकता हूं ?
बच्चे, बूढ़े और जवान आगे आ रहे हैं...
आप किसका इंतज़ार कर रहे है?

कावेरी को बचाने के लिए साथ आइए
इस लिंक पर स्वयं का अभियान शुरू कीजिए।
cauverycalling.org

Visit cauverycalling.org and support the planting of trees.
Either Donate trees or Become a Fundraiser and reach out to your friends and family for Saving Cauvery river!

Friday, June 14, 2019

sach me tap gayi hai dharti


सच में, तप गई है धरती

सुलगती हवा सीने को चीड़
उठती है ऊपर, आग सा गरम।
झुलसती चेहरे की सुखीं पलकें भी
जैसे बचा न पाती हैं आंखों को।
गिने चुने पेड़ों की मुरझाईं पत्तियां भी
हरियाली से बेआब्रू मिट्टी को
सुकून नहीं दे पाती है, आज
कहीं दिखती नहीं बारिश की आस -
सच में, तप गई है धरती

जो बोल पातें हैं हम, फिर भी
कराहती आहों की आवाज़
नहीं पहुंच पाती है हमारी
सोती अंतरात्मा तक,
बीच में ही कहीं सुख कर
रह जाती है, उन अगनित
नदियों की तरह, जो आज
रेतीली राह बन रह गईं है सिर्फ,
पानी की परछाई से भी दूर।

फिर बेबाक जीवों की कहानी
क्या बयां करें? हम अपनी ही
नहीं सुनते, उनकी क्या सुनेंगे भला?
जीवन तो जीवन है बस, हो
चाहे इंसान, पशु, पक्षी या पेड़,
पर हमारी सिर्फ और पाने की
होड़ ने आज उजाड़ दिया है चमन,
हर एक जान, एक एक बूंद जीवन
के लिए हो गई है मोहताज।

आज अलकतरे की सड़कों से,
गिट्टियों से, सीमेंट-इमारतों से,
ज्वालामुखी के अंगारें निकलते हैं,
जहां भी जीवन धधक रहा, वह
छांव की खोज में तड़पता है।
हरियाली की चिता पर आज
हमने भट्टियां बना कर रक्खा है!
क्या ठंडे पानी, हवा व छांव के
अभाव का अब भी आभास न होता है?

नयन
१४ जून, २०१९, शुक्रवार
पटना हावड़ा जन शताब्दी
(भीषण गर्मी में)

(चित्र यहां से अभार सहित गृहित है - https://www.google.com/amp/s/www.nytimes.com/2019/06/13/world/asia/india-heat-wave-deaths.amp.html)

Sunday, June 9, 2019

सागर में ढूंढ़ रहे हम

सागर में ढूंढ़ रहे हम
अफसानों के सीपों को,
गोता खाने से कतरा रहे फिर भी
भीग न जाए कहीं तन जो।

हम में तुम में बात अलग है,
इतनी सी से लड़ लें क्या हम?
अंदर बहता जो धुन इकतारा,
अनसुने दिल को कभी सून लो न!

भगदड़ वाला जी है हमारा,
सहे न एक पल का भी थमना।
हर की हरकत, सभी की बातें,
उफान लेे आता है मन में।

सुलगती चिंगारी और धधकती आग में
फासला नहीं ज्यादा कुछ होता,
(जली) राख को ढाखने की (दिखावटी) कोशिश में
भूल जाते हैं - चिंगारी न आने देना ही था आसान।

जीते जी मर मर कर हम
ढूंढते हैं सपनों में जीवन,
हर पल नया, हर सांस नई, पर
न देखने की कसम खाता जन जन।

कैसे निकलें इस अंधी धुन से,
सच की शिखा को थामे कैसे,
जलाएं कैसे मन मंदिर में ज्योति ?
हर पल जो धधकता है डर दिल में।

- नयन
८ जून, २०१९, रविबार
पटना/कोयंबत्तूर

পিছু না নিয়ে আর পারলাম না

জানি যে কষ্ট হবে, না পেরে ওঠার
শঙ্কাও ছিল মনে, কিন্তু কী করি -
বাঁসিওয়ালা এমন ধুন বাজালে যে,
পিছু না নিয়ে যে আর পারলাম না !

তোমার চোখের নিরব নৈঃশব্দ,
তোমার হৃদয়ের উচ্ছ্বাসের সাথে
মিশে এক হয়ে আছে, এখানকার
তোমার প্রতিটি পায়ের ছাপে!

বিভীষিকায় বাঁধা মানুষ প্রাণে
লাগে যেই তোমার কৃপার ছোঁয়া,
হালকা হাওয়ায় যায় খুলে জট,
মিলিয়ে মনের ভারী ধোঁয়া।

তাই নিই পিছু তোমারই আজ,
হাসি ফোটাতে মুখে মুখে,
ডাকে - তুমি শুরু করেছ যে কাজ,
পারিনা পারিনা নিজেকে থামাতে।

তাই তোমাকেই দেখি যেন
প্রতিটি শ্বাসে, প্রতি পলে,
যে পথ দেখালে তুমি হাত ধরে,
ভরসা তুমিই, তুমিই সম্বল।

তাই মানুষের মাঝে হই যেন তুমিই,
হারিয়ে নিজেকে তোমার মাঝে,
জাদুকর তাই তোমার তানে আজ
মাতিয়ে তোলো অন্তহীন সাজে!

- নয়ন
৯ জুন, ২০১৯, রবিবার
পাটনা/কোয়েম্বাটোর

Sunday, May 26, 2019

अनंत अफ़सोसों की माला


अनंत अफ़सोसों की माला

मिट्टी का फूटा घड़ा लिए
मैं पानी भरने जाती हूं,
सोचती हूं कि मेहनत का
साकार हुआ होगा फल,
पर देखती हूं फूटे छेदों से
बह गया है सारा जल!

तकिये में हुए छेदों को मैं
सर के नीचे रख सोती हूं,
छुपाए न छुपे, छेदों से
रुई निकल उड़ जाते हैं,
सर को साफ रखने की कोशिश में
सर मैला हो जाता है।

तुम तो एक ही रहते हो पर,
तुम्हारा रूप बदल बदल जाता है।
सोचती हूं मौसम का खेल होगा
(और) सूरज पर भी शक जाता है,
मुझको धरने वाली धरती से पर,
नज़र दूर खड़ी रहती है।

बदलती छवि के धुओं में मैं
ढूंढती फिरती हूं दुआओं को,
बहती नदी में तैरूं ना पर, मैं
(किनारे) बैठ  गिनती हूं सीपों को।
इस पल के मौके को क्यूं दूर
बहने देती हूं समय की नाव में?

मिट्टी को छू लेने की ललक
मन की ही है - मट मेले होने को,
पर खुद को किसी और में
खो देने के डर की झिझक
इतनी है कि, इतना पास आकर भी
बार बार कश्ती को दूर बहने देती हूं।

नयन
१४ अप्रैल, २०१९
कोयंबटूर

Tuesday, April 16, 2019

বিলিয়ে দিলেন সব তিনি

বিলিয়ে দিলেন সব তিনি
এক পলকের নিমিষে,
যা ছিল সবকিছু তার
শুধু একটি শ্বাসে ।

যা সব অজানা, হবে
জানা এক নাগালে,
সাগরে শান্ত জাহাজ,
স্তব্ধ হাওয়ার পালে।

পথিক যে চুপি চুপি আসে -
বারে বারে গেলেন বলে,
শান্ত শুধু হতে হবে তোকে,
সে যে দেখা দিয়ে চলে ।

এই হল সেই আসল মানিক,
ছেড়ে তুই খুঁজিস কারে ?
যাবে যে নিয়ে সঙ্গ ডোরে
জনম মরণের পারে ।

চক্ষু দুটির পারে চাওয়া,
মনের অন্তরে যাওয়া,
নিজেকে হারিয়ে তবেই
নিজেকে খুঁজে পাওয়া।

-- নয়ন
মার্চ - এপ্রিল, ২০১৯