নিজের থেকেও বড় এক অভিজ্ঞতা
সময়ের মাঠের সেই বিশাল চত্বরে,
একসময় যা লাগতো অন্তহীন, কঠিন,
নিজেকে তৈরির যখন চলছিল কাজ,
মাথাতেও আসেনি কিন্তু কখনও,
সত্যিই কি পারবো, কেমন করে হবে সেটা,
যখন শেষ - মেষ দাঁড়াতে পারবো!
বোধকে আমার করেছিল সীমিত
আমার দৃষ্টির দুর্বলতা, অনুভূতিকে আমার
রেখেছিল রুখে বন্ধ হৃদয়ের দরজা।
তাই থেমে গেলাম, বাকরুদ্ধ হয়ে,
যখন প্রথম পা বাড়ালাম গুটির বাইরে -
কী বিশাল, কী অসীম পুরো জিনিস টা!
সেকেন্ড মেলালো মিনিটের মাঝে,
মিনিট হারালো ঘনটায়, সময়
মেলে ধরলো খুলে নিজেকে
আমার অবাক চোখের পর্দায়!
অপার এসবকিছু লাগছিল আমার,
কাঁপছিলাম সংশয়ে - পারবো কি আমি!
আর তক্ষুনি একি দেখি চোখের সামনে -
আপনা থেকেই ঘটলো জাদু!
শুরুতেই হল ভুল, মনে যে ভয় -
যেন কৃপা থেকে দূরে না যাই সরে!
উফ, এত বাধ্য করে,
বার বার মনকে দেয় নাড়িয়ে কেন?
চিন্তিত চিত্তে তাকাই বাইরের দিকে,
তারপর অন্তরের মাঝে, আর
শেষে ডাকি সদগুরুকে!
চেষ্টা করি আরও জোর দিয়ে,
কিছুতেই হয়না যে কিছুই!
কিন্তু যে মুহূর্তে দিলাম নিজেকে ছেড়ে,
নিলাম শ্বাস একটা আলতো করে,
তক্ষুনি যে হয়ে গেল, সত্যি হল!
শব্দগুলো শুনেছি এতবার, ভেবেছি সবই জানি!
এই প্রথম যেন আঁছরে পড়ল এমন করে!
যতক্ষণ ছিলাম আমি, তা যে ছিল না!
যেই দাঁড়ালাম সরে, পুরো বেগে নেমে এসে
ঘটল সে কী জোরে! কী অবিশ্বাস্য তা
মেলে দিল নিজেকে, নিজেই চললো হয়ে!
আর, নিজের বোকামি জেনে রইলাম দাঁড়িয়ে,
কী অবাধ, পবিত্র, দুর্বার গেল ছুঁয়ে,
মুসলধারের মতো ভিজিয়ে দিয়ে!
"পারবো না" - এর ভীতি থেকে বেরিয়ে,
তাঁর উপস্থিতিতে পুরোপুরি ভিজে যাওয়া!
এক্কেবারে অন্য কিছু আমাতে দেখলাম,
তখনই বুঝলাম, এ তো আমি নই,
এ তো আমার করাও কিছু নয় -
কিছুই যেন আমি পারি না করতে,
পারি শুধু কৃপার কোলে শিথিল হয়ে যেতে!
যখন সে জাদুর কবিতার এলো শেষ,
পা বাড়াতেই যেন থমকে গেলাম, পরম মুগ্ধ!
অনুভূতির রসে সিক্ত শরীর আমার,
যেন লাগলো কাঁপতে, চোখের জলে
যেন নয়নদুটি আমার হয়ে এলো বন্ধ,
আর কী ই বা চাইতে পারি আমি?
কেঁদে উঠলাম কাঁপা গলায়,
নেমে এলো, কী জোরালো বন্যাসম -
তাঁতে মিলিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে!
-- নয়ণ
সোম, ১১ই নেম্বরের ২০১৯ (আমারই লেখা ইংরেজি মূল কবিতা থেকে বাংলাতে ভাষান্তর)
ঈশা যোগ কেন্দ্র, কোয়েম্বাটোর
ইংরেজি মূল কবিতাটি এখানে পড়তে পারেন: http://musical-poet.blogspot.com/2019/10/an-overwhelming-experience.html
"কৃপা হি কেবলম"
No comments:
Post a Comment