সেই দিন! - কী ছিল সেই দিন?
যে হঠাৎই দেখি লোকের মুখে
পুজোর ঢাক ঢোল পেটার আনন্দ,
মনের দেয়ালে টেরাকোটার মিষ্টি হাসি,
আর নিশপিশ করা হাতগুলি যেন
বুক উজাড় করে দিতে চায় উপহারে!
কেন, সেই দিনই কেন?
যে হঠাৎই উচ্ছ্বাস ঝাঁপিয়ে পড়ে
সংবাদের কন্ঠে ও কলমে,
অনেকদিন দেখা হয়নি সাথে বা
কণ্ঠ শুনিনি যার, সেও জেগে ওঠে,
পৃথিবীকে আপন করে নেবার এত বড়
প্রতীক ও সুযোগ, দেখি চোখের সামনে!
সেই দিনটির মাঝ দিয়ে, ভাবি, যেতে যেতে -
সেকি শুধু আমার জন্য, নাকি
সেই দিনটিরও ছিল কোনও মাহাত্ম্য?
অনেকেই তো আসে, অনেকেই চলে যায় -
শুধু একদিন একজনকেই নিয়ে
এত মাতামাতি কেন হয়?
সেই দিনটি কেন এত মনে রয়ে যায়?
সেই দিনটিই যে ডাকলো কাছে, বলল ওরে! -
"বুঝতে পারা জীবনের" বাইরেও যে জীবন আছে!
চাইলে শুধু একবার তাকা তো নয়ন মেলে,
তোর সামনের বুকভরা জীবন্ত বন্ধুটাকে।
আর তক্ষুনি! সীমার মাঝে অসীমকে ছোঁয়ার
ঝলক দেখি যেন হাসির মুখের চোখে -
যেন জীবনের মানে জীবনই দেয় দেখিয়ে!
জানতে পারা যে জানার আছে এত কিছু -
বুঝলাম তবে শেষে - এই যে শ্বাস নিচ্ছি,
বুঝতে পারছি প্রাণের স্পন্দন,
হৃদয়ের রাগ - রাগিনী, উপলব্ধির দোরগোড়ায়
পারছি হাঁটতে, নিজের পায়ে!
জানি, হবে শেষ সেই শুরুরও, ক্ষতি নেই!
সেই শুরু আর শেষের মাঝে বাঁচাটাই সব,
আর সেই উপহারটি দিয়েছে, ওই সেই দিন!
তাই দূরে পিছনে ফেলে আসা
সেই দিনটার মনে রাখাকে আবার
ফিরিয়ে আনি, অস্বস্তির ভাবনাকে
হালকা করে দিই মিলিয়ে যেতে, আর
সকলের কাছে খুলে আমন্ত্রণের দরজা,
পাতি কান প্রকৃতির শব্দের দিকে,
শুরুর স্রোতে ভাসিয়ে নিজেকে যেন
বেঁচে উঠি আরও আরও আরও!
আগুনের জন্য চাই একটি ফুলকি ই -
সেই দিনটি যেন তারই যোগান দিয়ে গেল!
জীবনের মাঝে নিজেকে মেলে দিয়ে,
এবার দুর্বার দিগন্তকে জড়িয়ে ধরতে
চায় মন! ভেঙে টুকরো করে যেন
বিলিয়ে দিতে পারি, আবার জুড়ে
তৈরি করতে পারি, যেভাবে যখনই
যেখানেই হোক প্রয়োজন -
এক তীব্র জীবনের স্বাদে,
নিজেকে উজাড় করে -
এক নতুন আমিতে!
-- নয়ন
সোম, ১১ই নেম্বরের । মঙ্গল, ১২ ই নভম্বর, ২০১৯
ঈশা যোগ কেন্দ্র, কোয়েম্বাটুর