Nayan | WritersCafe.org

Saturday, October 12, 2024

কীরকম ভালবাসায় ... ? In what kind of Love ... ?


যে ভালবাসায় কোনও শিকল নেই,
গলা টিপে ধরবে - কোনও এমন কল নেই,
দমবন্ধ করা "করতেই হবে"-এর বলও নেই,
সেরকম ভালবাসাতেই যেন যাই গো প্রভু!

যে ভালবাসায় প্রত্যাশার মরম যন্ত্রণা নেই,
চাহিদা মেটানোর তর-না-সওয়া উগ্রতা নেই,
ছল করে যা চাই তা আদায় করার চেষ্টাও নেই,
সেরকম ভালবাসাকেই যেন গ্রহণ করি প্রভু!

যে ভালবাসায় নিজের ঢাক পেটানোর জ্বর নেই,
রাগ, সংশয়, হিংসে ইত্যাদির লেশমাত্র যেখানে নেই,
আবেগের বশে ক্ষতি চাইবার মতো ইচ্ছেও নেই,
সেরকম ভালবাসাতেই যেন নত হই প্রভু!

যে ভালবাসায় আছে স্বেচ্ছায় সাহায্য করা,
বিরহের ব্যথায় নিঃশব্দে চোখের জল ফেলা,
আর আছে নিজেকে ভুলে শুধু ভালো চাওয়া,
সেরকম ভালবাসাতেই যেন যাই গলে প্রভু!

-- নয়ন
শনিবার, 12 অক্টোবর 2024
রাত 11 টা, পাটনা

Saturday, October 5, 2024

সত্যের ছোঁয়ায় - Sotyer Chhonwaye (In Touch Of Truth)


একটা মানুষকে কাছে পেতে
হয়ত আমরা মিথ্যে বলতেই পারে,
কিন্তু মিথ্যে বলে কাউকে যে পাওয়া যায় না,
সত্য এক না একদিন বেরিয়ে আসেই।

মিথ্যা বহুরূপী -
দরকার অনুসারে রূপ পাল্টায়।
সত্য চিরস্থায়ী চিরন্তন -
সময়ের সাথে তা বদলে যায় না।

মিথ্যের মুখোশ লাগে -
তার সাজসজ্জার দরকার পড়ে।
সত্য উলঙ্গ শিশুর মতো সুন্দর -
তাকে ঢাকতে আবরণ লাগে না।

প্রত্যেক মানুষের আপন আপন মিথ্যে হয়,
মিথ্যে অধিকার-অধিপত্যের আভাস দেয়।
সত্যকে কেনা সম্ভব নয়,
সত্যের আমার-তোমার হয় না।

মিথ্যের শুরু হয়, শেষ হয় -
তাকে ঘিরে তাই হারিয়ে ফেলার ভয়ও হয়।
সত্য চিরশাশ্বত, অনাদি-অনন্ত -
সত্যের স্পর্শ ভয়ভঞ্জন করে।

মিথ্যে ক্ষণিক সুখ দেয়, দমবন্ধ করে,
একটা মিথ্যেকে ঢাকতে আরেকটা লাগে।
সত্যের কোনও অবলম্বন লাগে না,
কষ্ট দিলেও তা কিন্তু মুক্ত করে।

এই দেহের খেলোনা, এই মনের ছলনা,
এই জগৎ-সংসারের জল্পনা-কল্পনা,
তার মাঝে এই আলো-আঁধারের খুংশুটি -
মিথ্যের এই খেলাটা কি না করলেই নয়?

কতকিছুই না আমরা করে থাকি
আমাদের ব্যক্তিগত মিথ্যেটুকুকে বাঁচাতে,
সবই কিন্তু একদিন হাতছাড়া হয়ে যায় -
এই সত্যটাকে যদি একবার দেখতে পাই!

আমাদের মধ্যে যে স্বাস-প্রশ্বাসটি চলে -
ঈশ্বরের শাশ্বত উপস্থিতি জানায়, অনবরত।
তার ছোঁয়া যদি একবার আমরা পাই, সজ্ঞানে -
তাহলে আর সত্যকে ঢাকতে মিথ্যেগুলো লাগবে না।

যা দিয়ে প্রত্যেকটা ছবি ফুটে উঠছে,
প্রতিটা রঙ চোখ মেলে তাকাচ্ছে,
আর তাতে প্রাণের স্পন্দন দেখা দিচ্ছে -
সৃষ্টিকর্তা কী তুলি ধরেছেন হাতে!

সৃষ্টির এই অন্তহীন ক্যানভাসে
প্রকৃতির এই অবাক করে দেওয়া ঝলক
কি থমকে দেয় না মনের অন্তর?
তাহলে কেন ফেঁসে আছো এই ঝামেলায়?

সত্যই ব্রহ্ম, সত্যই ঈশ্বর, 
সত্যই পরম সুন্দর!
জনম-মরণ, সুখ-দুঃখের ঊর্ধ্বে,
সত্যই চিরশাশ্বত জীবন!

আজ আদ্যাশক্তির আওহানে
গগনে-গগনে ধ্বনিত জীবনের জয়গান -
ঘুম ছেড়ে ওঠো, ফেলে এই মিথ্যে তাড়না -
সত্যের ছোঁয়ায় আজ তোমার আমন্ত্রণ!


-- নয়ন
শনিবার, 5 অক্টোবর 2024
১৪৩১ এর আশ্বিনের দুর্গাপুজোর তৃতীয়া 
সকাল 10:24, পাটনা


Monday, September 23, 2024

ভালোবাসা আর ভয় - Bhalobasha aar Bhoy



ভয় পাও বলে কি ভালোবাসো?
নাকি ভালোবাসো তাই পাও ভয়?
বেড়ে উঠলেও বড় হওনি বোধহয়,
তাই রয়ে গেছে মনে এই সংশয়।

ভালোবাসা হলে ভয় হবে না,
ভয় থাকলে ভালোবাসা নেই,
এই দুই একসাথে থাকে না,
ভালোবাসাকে ভুল বুঝেছো তাহলে।

ভয়ের আচ্ছাদনে সন্দেহ-সংশয়রা
লুকোচুরি করে, দমবন্ধ করা
রুদ্ধশ্বাস যেখানে বুকে টিপটিপ করে,
ভালো চাওয়া সেখানে যায়না।

ভালোবাসার আঙ্গিনায় কিন্তু
কাউকে আটকে রাখা থাকে না,
নিজস্ব চাওয়া ফেলে শুধু দেখা -
যাকে ভালোবাসি, সে ভালো আছে তো!

প্রত্যাশারও স্বার্থ সেখানে ঘর করে না,
রাগ-বিদ্বেষ সেখানে আসতে পারে না,
নিজের খেয়াল যেখানে আর থাকে না,
ভালোবাসার পাত্রটিই শুধু রয়ে যায়।

ভালোবাসা সত্যের ছোঁয়া হারায়
যদি ভুলকে তার সংজ্ঞা দিয়ে বসো!
ভালোবাসা মুক্ত করে, তাতে
ধরে রাখার প্রবণতা থাকে না।

যাকে ভালোবাসো, সে তোমার! -
এটা ভাবা যে ভীষণ ভুল!
আর সে তোমারই অনুসারে চলবে! -
এ কিন্তু ভালোবাসা নয়।

জলজ্যান্ত একটি প্রাণ -
সে কীকরে তোমার-আমার হতে পারে?
জীবনকে বস্তুতে পরিণত করে যা -
কীকরে তা ভালোবাসা হতে পারে?

জীবন, ফুলেরই হোক বা মানুষের -
ফুটে ওঠে, সুগন্ধ ছড়ায়, আবার ঝরেও পড়ে।
তার ভালোবাসা সুগন্ধ ছড়ানো - তাকে
মুঠোয় ধরতে গেলে তো সে মারাই পড়বে!

তাই সত্যের আলোয় এসো,
চৌদিকে চেয়ে দেখো,
ধরে রাখার নেই কিছুই এখানে,
আছে কেবলই ভালোবাসা! 

বিদ্বেষ, বেদনা, সন্দেহ, সংশয় 
মুক্ত হও, দেরি করো না আর!
অনেক করেছো বহন,
এবার ফেলে দাও এই ভার!

সত্যকে বুঝতে সাহসী হও
বন্ধু, মিথ্যা করোনা হাহুতাশ!
চোখ খুলে চাও, দেখো
আলো, জল আর বাতাস!

-- নয়ন
সোমবার, 23 সেপ্টেম্বর 2024
দুপুর 12:45, পাটনা

Thursday, September 5, 2024

পেয়ারা গাছ - Guava Tree

 




আমার প্রিয় পেয়ারা গাছটি আজ বৃদ্ধ!
আজ তাকে কেটে ফেলার কথা হয়!
কিন্তু আমার স্পষ্ঠ মনে আছে -
পেয়ারা গাছের সঙ্গে আমার ছোট বেলার খেলা,
তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বাল্য কালের
এবং একটু বড় বয়সের সুখ-দুঃখ!

সেই যখন খুব ছোট্ট আমি -
পেয়ারা গাছটি আমার কাছে
বিশাল কিছু মনে হত,
আমি মাথা উঠিয়ে দেখতাম
বড় পেয়ারা গাছ কে -
খুব ভাল লাগত আমার তাকে!


আবার হয়ত সে একজন বন্ধুর মত
যখন আমি একটু বড় হলাম, তখন
আমার সমস্ত আনন্দ-কষ্টের কথা -
পেয়ারা গাছকেই তো বলতাম, আমি!
মনে হতো সে -
    আমার আনন্দে আনন্দিত,
    আমার দুঃখে পীড়িত,
    আমায়ে উচ্ছসিত করছে,
    নিরাশায়ে আশার আলো দেখাচ্ছে!

কিম্বা হয়ত সে একজন গুরুজন -
আমায়ে ঠিক পথ চিনিয়েছে
যখন-যখন আমি পথ হারিয়েছি!
ভগবানের মত, আমার মায়ের মত
অন্ধকারময় জীবনটাকে প্রকাশিত করে তুলেছে!

      *   *   *

এবার একটি আশ্চর্য ঘটনা বলি -
    পেয়ারা গাছের পাশের উঠুনের একটি অংশ
    একটু ফেটে গিয়েছিল -
    বোধ হয় তারই শিকড়ের জন্য।
    সেটাকে সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা হয়, কিন্তু -
    মায়ের পায়ের ছাপ তাতে পড়ে যায়!
    আমি দুঃখের দিনে সেই ছাপটিকে
    কত বার প্রনাম করেছি!

      *   *   *

আজ আর পেয়ারা গাছের তলে
মায়ের পায়ের সেই ছাপটিকে খুঁজে পাই না!
হয়ত সেটা মিটে গেছে, বা
ধুলায়ে চাপা পড়ে গেছে -
তার বোধহয় আর অস্তিত্ব নেই!

আমার প্রিয় পেয়ারা গাছটিও আজ বৃদ্ধ,
তার অনেক ডাল পাতা শুন্য,
বেশির্ভাগ পাতা হলুদ হয়ে গেছে!
এমন কখনও হয়নি! মনে পড়ে -
    ক্লাসে এভারগ্রীন গাছের পাতা সাটতে দিয়েছিল -
    আমি পেয়ারা গাছের পাতা সেঁটে নিয়ে গিয়েছিলাম!

হয়ত, দীর্ঘদিনের অযত্নে,
দারুন ক্ষতি হয়েছে!
মনে হয়, যেন সে নিজের
মহা-মরণের জন্য তৈরী হচ্ছে!
তাকেও বোধহয় কিছু দিন পরে -
খুঁজে পাওয়া যাবে না!
তারও ওই মায়ের পায়ের ছাপের
মতো, অস্তিত্ব থাকবে না!

আমার প্রিয় পেয়ারা গাছ,
প্রানের থেকেও প্রিয়!
আমার কাছে কখনও আশ্চর্য কিছু,
বিশাল কিছু, বড় ভাল কিছু!
কখনও বা বন্ধুর মত, সখার মত!
আবার কখনও গুরুজনের রূপে,
ভগবানের রূপে, মায়ের রূপে!
আমার সুখ-দুঃখের সাথী,
    দুঃসময়ের সাহারা,
আলো আর অন্ধকারের জীবনে
    আমার পথ-দ্রষটা!

আমার পেয়ারা গাছের,
আমার মাঝ থেকে
চলে যাবার আগে, আমি -
    পেয়ারা গাছের একটি ছবি
    নয়নের ক্যামেরা দিয়ে তুলে
    রেখে দেবো মনের এলবামে!

নয়ন 
সোমবার, 29 ডিসেম্বর 2003
পাটনা

(পেয়ারা গাছের ছবিটি অনেক পরে 2024 সালের 5 সেপ্টেম্বরে তোলা। তখন গাছটি বেঁচে উঠেছে। কবিতাটি অনেক আগে লেখা।)

Sunday, August 25, 2024

How can one fake?


Of birth and of death,
In every breath that it takes;
Of the same friend and foe,
The stories that this mind makes;
While no two labels can gauge
The unnecessary love and hate;
Still trying the forgetful maze,
Bound to nature, bound to fate;
The life that time keeps,
Heart beats and pulse rates,
Drop by drop, away it seeps,
Over foolish pride in false stakes;
Still engaged in battles of face,
How so more, how so less,
On anger that drives away grace,
In a decorated intelligent mess;
Fast curse or boon slow,
What want would one really make?
Unthought of, too soon did it flow?
Of impatience, and a bad blow;
Humanity's sake, how can one fake?

-- nayan
Sat & Sun, 24th & 25th August 2024
11:39 pm, No-where or Now-here?

May you understand


Let my love 
Not be of the body
Nor of the mind,
Neither of emotion,
Nor of ambition...
Oh my beloved!
May you understand 
One day what I wish,
And thence you'll know
What you need to.

Whoever you may be,
Wherever you may be,
In whichever Form,
With whatever Face,
Colour and Content,
Oh my beloved!
May you discover
One day what I am,
And thence you'll find
What you are too.

Let my love
Be Without Goal,
Without Guilt,
Innocent, Unshackled,
Formless and Free...
Oh my beloved!
May you experience
One day what I cherish,
And thence you'll feel
What beats in you too.

-- nayan
Sat, 24th Aug 2024
At Now-here, In No-where 

(Image source: https://www.flickr.com/photos/100112911@N07/11217910155)

Sunday, August 18, 2024

मुक्ति दीजिए प्रभु Mukti Dijiye Prabhu


हे आनंददाता,
बंधनमुक्त कीजिए प्रभु!
हे भाग्यविधाता,
मुक्ति दीजिए प्रभु!

जब आप हैं स्वयं
सत चित आनंद,
तब क्यों यह रहे
असत, बेहोश, निरानंद?

हे सत्यस्वरूप,
मिथ्या भंजन कीजिए प्रभु,
हे मायामुक्तरूप,
शाश्वत सत्य में लाइए प्रभु!

जो है मिथक,
उसे कब तक ढोए यह?
जो है नेत्र छानी,
उसे कब तक संवारे यह?

हे चिदात्मरूप,
मनभ्रम कीजिए खंडन प्रभु,
हे अंतरात्मा, अंतर्यामी,
चैतन्य का स्पर्श दीजिए प्रभु!

~ नयन,
रवि, 18 अगस्त 2024
दोपहर 1 बजे, पटना