যেখানে কেউ নেই আশেপাশে,
কাঁটা ছেঁড়া, টানা হেঁচড়া না করেই
শান্তিতে যেতে দেয় আমাকে,
এমনই নিরিবিলিতে যেন
মৃত্যু বরণ করতে পারি আমি,
প্রকৃতির মাঝে, যেখানে
ধুলি ধূসর মাটির গন্ধে গন্ধে,
বাতাস হালকা হাসিতে হাঁসে,
আর তাতেই সবুজ ধানের শীষ
আর হলুদ সর্ষে ফুলের দোলা
ছুঁয়ে যায় কাদা মাটি মাখা
স্টেশনে আটক রেলগাড়ির খাঁচার
ভিতর বসে থাকা মনের খেলাঘরের
সেই ছোট্ট অচিন পাখিটিকে!
যদি বেদনা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ত,
আর কান্না নীল সাগরের ঢেউ হতো,
তাহলে তো বুকের ভিতরটায় আর
এতোটা ব্যথা হতো না, এতো চাপ হতো না।
যদি মনের কথা শোনাবার জন্য
মুখে বাণী হতো, আর শুনবার জন্য
ভালোবাসা আর ধর্যের কান হতো,
তাহলে তো মানুষ বন্ধু পেতো।
যদি এতো টানটান পৃথিবীতে
একটু বইতো পাগলা হাওয়া,
একটু ভয় কম হতো আর
একটু লয় বেশি হতো জীবনে,
তাহলে দেবতা আর দেউলেই থাকতো না,
কুঁড়েঘরেও তাঁকে জীবন্ত পেতে!
সময়ের চারদেয়ারিতে বসে বসে
হয়ত ভুলেই গেছি যে একদিন এমন আসবে
যেদিন এ দেয়াল আর দেয়াল থাকবে না!
যেদিন সিনেমার মতো ঝিলমিল করে ওঠা,
ঊষার আলোয় আলোকিত, রঙে রঙিন,
আর স্বপ্নের দরজা এতেও দেখা দেবে।
সেদিন তো আর বসে থাকলে চলবে না!
সেদিন স্বয়ং যেন ডাক দেবেন ঠাকুর,
যদি তৈরি না থাকি, যদি হাতছাড়া
হয়ে যায় তাঁকে দেখার শেষ সুযোগ!
তাহলে যে জীবনটাই ফসকে যাবে, বলো?
আর কি তখন আফসোস মিটবে কখনও?
তাই যেন আজ বইছে চোখের জল -
সকল খেলার মাঝে কবে পাবো (তোমাকে) সম্বল?
-- ভাস্কর জ্যোতি ঘোষ
রবি, 17 নভেম্বর 2025
সন্ধ্যে 7টা, পাটনা
(ছবিটি perplexity AI এর মাধ্যমে তৈরি)
No comments:
Post a Comment