একটা মানুষকে কাছে পেতে
হয়ত আমরা মিথ্যে বলতেই পারে,
কিন্তু মিথ্যে বলে কাউকে যে পাওয়া যায় না,
সত্য এক না একদিন বেরিয়ে আসেই।
মিথ্যা বহুরূপী -
দরকার অনুসারে রূপ পাল্টায়।
সত্য চিরস্থায়ী চিরন্তন -
সময়ের সাথে তা বদলে যায় না।
মিথ্যের মুখোশ লাগে -
তার সাজসজ্জার দরকার পড়ে।
সত্য উলঙ্গ শিশুর মতো সুন্দর -
তাকে ঢাকতে আবরণ লাগে না।
প্রত্যেক মানুষের আপন আপন মিথ্যে হয়,
মিথ্যে অধিকার-অধিপত্যের আভাস দেয়।
সত্যকে কেনা সম্ভব নয়,
সত্যের আমার-তোমার হয় না।
মিথ্যের শুরু হয়, শেষ হয় -
তাকে ঘিরে তাই হারিয়ে ফেলার ভয়ও হয়।
সত্য চিরশাশ্বত, অনাদি-অনন্ত -
সত্যের স্পর্শ ভয়ভঞ্জন করে।
মিথ্যে ক্ষণিক সুখ দেয়, দমবন্ধ করে,
একটা মিথ্যেকে ঢাকতে আরেকটা লাগে।
সত্যের কোনও অবলম্বন লাগে না,
কষ্ট দিলেও তা কিন্তু মুক্ত করে।
এই দেহের খেলোনা, এই মনের ছলনা,
এই জগৎ-সংসারের জল্পনা-কল্পনা,
তার মাঝে এই আলো-আঁধারের খুংশুটি -
মিথ্যের এই খেলাটা কি না করলেই নয়?
কতকিছুই না আমরা করে থাকি
আমাদের ব্যক্তিগত মিথ্যেটুকুকে বাঁচাতে,
সবই কিন্তু একদিন হাতছাড়া হয়ে যায় -
এই সত্যটাকে যদি একবার দেখতে পাই!
আমাদের মধ্যে যে স্বাস-প্রশ্বাসটি চলে -
ঈশ্বরের শাশ্বত উপস্থিতি জানায়, অনবরত।
তার ছোঁয়া যদি একবার আমরা পাই, সজ্ঞানে -
তাহলে আর সত্যকে ঢাকতে মিথ্যেগুলো লাগবে না।
যা দিয়ে প্রত্যেকটা ছবি ফুটে উঠছে,
প্রতিটা রঙ চোখ মেলে তাকাচ্ছে,
আর তাতে প্রাণের স্পন্দন দেখা দিচ্ছে -
সৃষ্টিকর্তা কী তুলি ধরেছেন হাতে!
সৃষ্টির এই অন্তহীন ক্যানভাসে
প্রকৃতির এই অবাক করে দেওয়া ঝলক
কি থমকে দেয় না মনের অন্তর?
তাহলে কেন ফেঁসে আছো এই ঝামেলায়?
সত্যই ব্রহ্ম, সত্যই ঈশ্বর,
সত্যই পরম সুন্দর!
জনম-মরণ, সুখ-দুঃখের ঊর্ধ্বে,
সত্যই চিরশাশ্বত জীবন!
আজ আদ্যাশক্তির আওহানে
গগনে-গগনে ধ্বনিত জীবনের জয়গান -
ঘুম ছেড়ে ওঠো, ফেলে এই মিথ্যে তাড়না -
সত্যের ছোঁয়ায় আজ তোমার আমন্ত্রণ!
-- নয়ন
শনিবার, 5 অক্টোবর 2024
১৪৩১ এর আশ্বিনের দুর্গাপুজোর তৃতীয়া
সকাল 10:24, পাটনা