Nayan | WritersCafe.org

Saturday, May 31, 2025

ঈশ্বরের খোঁজ হোক এবারই শুরু Let the Search for Divine begin!

(generated by Google Gemini)


যখন যায় ভেঙে সব ভরসা,
শেষ হয়ে যায় সকল আশা,
কোনো উপায়েই যখন আর করে না কাজ,
সত্যিকারে তবেই ঈশ্বরকে সে চায় আজ!

নয়ত, ঈশ্বরের বন্দনা শুধুই মনের ভ্রম,
কেবল মনভোলানো আশ্বাসের ক্রম,
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ছলনা,
কেবল দেয়া-নেয়ার চুক্তিই তো, তাই না?

সত্যি-সত্যি যখন মানুষ হয় নিঃশেষ,
কাজ করে না আর কোনোই হাপিত্যেশ,
সব হারানোর ভীষন ভয় দিয়ে মনে,
তখনই সে আসে আসলে ঈশ্বরের শরণে!

ভরসা যদি বাইরে তাকায়,
জগৎ যদি মনটা কাঁপায় -
বাহির ভীতের আর সময় কতো?
কাঁচের মতো ঠুনকো সে তো!

অদেখা পথে আশা-আকাঙ্খার হাতছানি,
পার হয়ে আসা ছবিগুলোর স্মৃতি ও গ্লানি,
অস্থির করে দেয় ভয়, মনের জোরের ক্ষয়,
মিথ্যেকেই সত্যি মেনে শক্তিরই অপচয়!

তাই আজই তোমার সময় হলো -
ভিতরের শক্তিরে জাগাও আলো।
নিত্য এ প্রাণে দেবতার জীবন্ত খেলা -
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে, করো না অবহেলা!

নিজের পানে তাকাও বন্ধু,
তোমা'-আমা' (করার) নেই গো কিছু,
যার রাখার, জেনো, রাখেন সেই,
যা করার, তা করেনও সেই!

জানা গন্তব্যের পথ অজানা, অনন্ত, ক্লান্ত,
সব চেষ্টা বৃথা, মনপ্রাণ একেবারে ক্ষান্ত,
ঈশ্বরের খোঁজ হোক এবারই শুরু,
দিয়ে শেষ প্রাণটুকু সিঞ্চিত কর মরু!

-- ভাস্কর
সকাল 10:30, পাটনা
শনিবার, 31 মে 2025
(লেখাটির শুরু গত মাস থেকেই)



তুমি এসো না আমার কাছে Please don't come to me

(generated by Google Gemini)

তুমি এসো না আমার কাছে,
দয়া করো, থাকতে দাও আমাকে
নিজের মধ্যে লুকিয়ে!

তুমি এলে আমি পারবো না
কেবলই বসে থাকতে,
ফেলফেলে চোখে শুধু চেয়ে থাকতে!

স্পৃহাহীন দাও থাকতে কিছুটা ক্ষণ -
সারা জীবনের দাসত্বে, এটুকুও
স্বাধীনতা কি নেই মোর প্রাপ্য?

তুমি এলে আবার আমায়
উঠতে হবে, বাঁচতে হবে,
খেলতে হবে, তোমার জন্য।

তোমার কষ্ট হয় বাঁচতে না পারলে,
আর আমি চাই মরণেরই পানে চাইতে -
তাই আমায় বাঁচতে হয় তোমার জন্য!

তুমি না এলে আমার বাঁধন থাকে না।
জীবন খেলার ছলনায়
আমাকে আর সায় দিতে হয় না।

কিন্তু তোমার কষ্ট দেখা যায় না!
তুমি কাছে থাকলে, যাতে কষ্টে না থাকো,
তাই আমাকে জোর করে বেরিয়ে আসতে হয়!

এই জবরদস্তি নিজেকে দাঁড় করানো,
জগতে অনিচ্ছা সত্বেও শামিল হওয়া -
আর ভাল লাগে না!

তোমার ভাল চাই, চাইবো চিরজীবন!
কিন্তু আমারও তো চাই দুফোঁটা শ্বাস
চিরক্লান্ত হিয়ায় একটুকু একান্তের আস!

তাই তুমি আর এসো না কাছে।
দয়া করো, থাকতে দাও আমাকে
সবার থেকে দূরে!

-- ভাস্কর
শনিবার, 31 মে 2025
সকাল 9:30, পাটনা

Friday, May 30, 2025

ভগ্নমন্দির Ruins


মৃত্যু, আমায় ডাকবি কবে?
এই নববর্ষের শুভক্ষণে তোকে
জানাতেও যে পারিনা আওহান!

শরীরের শেষে প্রাণ যে হয় না শেষ,
ফিরে আসে সে বার বার করে
মর্তলোকের সেই একই নিমেষ!

দেবালয়ের আশিষেতেও
কেন হয়ে যায় বার বার
মাথায় দায়িত্বের ভার?

এমন নয় যে নেই ভালবাসা,
তবু কেন হেরে যেতে চায় মন,
ত্যাগ করে সব আয়োজন?

সময়ের টানে সাগরের ঢেউ
যেন পাগল হয়ে ওঠে,
চোখের জলে কূলকিনারাই পাই না!

একটু স্বাদ চেয়েছিলাম এই ভুবনে -
কোথায় আটকে গেলাম
এই ভগ্নমন্দিরের কোণে?

যে কষ্টে আনন্দ পায়, সে কষ্ট পেতে চায়,
যে প্রেমে খুশী হয়, সে চায় ভালবাসতে,
যে হেরে গেলে সুখী, সে হেরে যেতেই চায়! 

মানুষ যেটায় আনন্দ পায়, তাই চায়।
আনন্দ না পেতে পারলে, কষ্টে ভোগে সে।
দুঃখ-সুখের খেলায় হায়, দুলতেই থেকে যায়!

কোথায় সূর্য, কোথায় চন্দ্র,
কোথায় গ্রহতারা সব নক্ষত্রবৃন্দ?
জীবনের জয়গানে আজ মোর কন্ঠবন্ধ!

যা নেই তা ভেবে-ভেবে, হয়েছে কাঙাল মন,
যা আছে, সেগুলো যায় যে মিশে ধুলায়!
মরণের পানে চেয়ে-চেয়ে কি বাঁচা যায় জীবন?

প্রতিদিনই যে সংবাদ রটে যায় সকালের সাথে,
একবার যদি সে তাকায় মুখটি তুলে...
দেখ, দেবতা ফুকারিয়া চলে ফকিরের বেশে!

প্রকৃতির পরিবর্তন মাঝেও
জীবনের স্লোগান শোনা যায়,
কিন্তু কীকরে শুনবে সে, যে চায় না শুনতে?

আজ সব শেষ যেন হয়, মাগো!
তুমি বক্ষে একদিন করেছিলে ধারণ,
তবু আজ ত্যাজ্যপুত্র হতে চায় মন!

মেঘে ঢাকা তারারা যদি নাই বেরোয়,
আর মুছে যায় আমার মিথ্যে ভুবন -
তোমার কাছে মাগো, এই মোর আবেদন!

যতদিন চেয়েছি লড়তে, পেয়েছি কেবলই কষ্ট,
তোমার সকল চেষ্টাই তাই মনে হয় আজ বৃথা।
তাই আজ যাক না মুছে আলো, নিবে যাক শিখা! 

আর এত করা যায় না রক্ষা, বার বার করে।
মনে আসে ক্ষণে ক্ষণে, মেনে নেওয়ার কথা।
আর সইতে যায় না পারা - আহত ক্লান্ত মাথা!

মাগো! করেছি নষ্ট তোমার সব পূজ্য দান।
এই কুপাত্রে আর ঢেলো না তোমার বরদান।
হেরে যেতে দাও চলে, শেষ গান ফুরাবার আগে।

-- ভাস্কর
15 এপ্রিল থেকে 30 মে, 2025
পাটনা



Tuesday, April 8, 2025

সাগরের ঢেউ, চাঁদের টান ও সাদা রঙের অতিথি (Sea, waves, moon and white guest)



দূর থেকে উড়ে আসা ঢেউগুলো
আছড়ে পড়তে চায় পারে -
যেন তাদের আর তর সহে না!
সাগরের বিশাল দেহটি জলের -
কেন জানিনা পার খুঁজে পেতেই
আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়!

চাঁদের পূর্ণ জোছনাকে কাছে পেয়ে
যেমন উথাল পাথাল হয়ে যায় সিন্ধু,
তেমনই হয় আবার তাকে খুঁজে না পেলে,
অসীম যন্ত্রণায়, তার বিরহের বেলায় -
বোঝালেও বুঝতে চায় না আর, চায় শুধু
পৃথিবীর বুকে সমস্ত অভিমান উগড়ে দিতে!

সেই আকুল মনের জালা,
সেই পাগল প্রণয় পালা,
জল দেহর অঙ্গ অঙ্গ করে ঘর্ষণ,
হাওয়াকেই পেয়ে দূত সে মনের মতন,
এই নোনা জলের বাষ্প ধোঁয়া -
যা নিয়ে মোর চোখের জলের ছোঁয়া!

হঠাৎ দেখা যায় আকাশে এক ঝাঁক
উড়ে যাওয়া সাদা রঙের অতিথি!
মনহারা সাগরের ঘোলাটে ফেনার ঢেউকে
চাঁদই যেন পাঠিয়েছে কথা -
শান্ত হও, ধৈর্য ধরো, দেখো চেয়ে অন্তরে,
দূরে থেকেও আছি যে কাছে!

-- ভাস্কর ঘোষ
মঙ্গলবার, 8 এপ্রিল 2025
সকাল 7:00

(গুগল জেমিনির মাধ্যমে ছবিটি তৈরি)