যখন যায় ভেঙে সব ভরসা,
শেষ হয়ে যায় সকল আশা,
কোনো উপায়েই যখন আর করে না কাজ,
সত্যিকারে তবেই ঈশ্বরকে সে চায় আজ!
নয়ত, ঈশ্বরের বন্দনা শুধুই মনের ভ্রম,
কেবল মনভোলানো আশ্বাসের ক্রম,
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ছলনা,
কেবল দেয়া-নেয়ার চুক্তিই তো, তাই না?
সত্যি-সত্যি যখন মানুষ হয় নিঃশেষ,
কাজ করে না আর কোনোই হাপিত্যেশ,
সব হারানোর ভীষন ভয় দিয়ে মনে,
তখনই সে আসে আসলে ঈশ্বরের শরণে!
ভরসা যদি বাইরে তাকায়,
জগৎ যদি মনটা কাঁপায় -
বাহির ভীতের আর সময় কতো?
কাঁচের মতো ঠুনকো সে তো!
অদেখা পথে আশা-আকাঙ্খার হাতছানি,
পার হয়ে আসা ছবিগুলোর স্মৃতি ও গ্লানি,
অস্থির করে দেয় ভয়, মনের জোরের ক্ষয়,
মিথ্যেকেই সত্যি মেনে শক্তিরই অপচয়!
তাই আজই তোমার সময় হলো -
ভিতরের শক্তিরে জাগাও আলো।
নিত্য এ প্রাণে দেবতার জীবন্ত খেলা -
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে, করো না অবহেলা!
নিজের পানে তাকাও বন্ধু,
তোমা'-আমা' (করার) নেই গো কিছু,
যার রাখার, জেনো, রাখেন সেই,
যা করার, তা করেনও সেই!
জানা গন্তব্যের পথ অজানা, অনন্ত, ক্লান্ত,
সব চেষ্টা বৃথা, মনপ্রাণ একেবারে ক্ষান্ত,
ঈশ্বরের খোঁজ হোক এবারই শুরু,
দিয়ে শেষ প্রাণটুকু সিঞ্চিত কর মরু!
-- ভাস্কর
সকাল 10:30, পাটনা
শনিবার, 31 মে 2025
(লেখাটির শুরু গত মাস থেকেই)