সাঁইত্রিশ বছর আগে -
এই দিন, এই ক্ষণ -
জন্মেছিল কে যেন
এক অমুল্য ধন।
নিয়ে ভীষণ ভার,
ভুয়েঁ এসে এবার,
পিতার চিন্তার সার,
হয়েছিল কার অভিসার?
সময়ের বহু আগে,
সে যে সময়েরও পার,
ভুস্বর্গে নিজ আধার,
সে খোঁজে দ্বার দ্বার!
স্বপ্নের নদী তীরে,
আটক তার তরণী ধীরে,
বইছে চোখের হিরে,
পরিপূর্ণ সে হবে কী রে?
শব্দ ফোটারও আগে,
দেবী তার নিত্য জাগে;
তাই জন্মসুত্রের অনুরাগে,
হয়েছে সে মুখরিত সেবা ও ত্যাগে!
সময় ঘোরে বার বার,
খুব তার ফেরবদলের ধার,
তাই সাম্যে রাখতে নিজ ভার,
সে অনবরত প্রচেষ্টায় জোরদার!
আপনের পর-এ আর
পর-এর আপনে আগমন,
যথার্থ জগতের অনুকম্পার
আশায় ক্ষত-বিক্ষত তার মন!
শিক্ষিত সুন্দর নিজ নিকেতনে,
মুরলিধরকে ডেকে ডেকে মনে,
সুযোগহীন সে আপন প্রাণে,
জোনাকিকে সোঁপে দিল জীবনে!
হাতে গড়া তাঁর কন্যা-সন্তান,
পরের ধাপে তুলে দিয়েছিলেন বলিদান,
বহু কষ্টে মেয়েটি পেল ত্রাণ,
শেষে হলো রক্ষে দানের মান!
আশাতীত অপরাজিত তার মন,
সব হারিয়ে আসে তার ক্রন্দন,
কিন্তু পরম পূজ্য পবিত্র সে ধন,
দেখা দেয় তার অতীতের স্পন্দন!
ধীরে ধীরে চাঁদের খেলা,
ধরণীতে ধরলো মেলা,
অনেক ঝরে সে দুলে দোলা,
শেষে মেটে তার বুকের জ্বালা!
বহু প্রাচীন, সে নয় কিছুতে ক্ষীণ,
জেনে যাক, সে হোক স্বাধীন,
আর না হোক সে সঙ্গীবিহীন,
অন্তরের শক্তিতে আর নয় মিনমিন!
কাটুক জরা, মিটুক খরা,
ভালোবাসা যে তার বুকে ভরা,
তার কর্ম দিয়ে আপন করা,
এবার অভয় দিয়েছে ধরা!
সত্যি কথার মানে,
তার বাজলো এবার কানে,
সে এখন নিজেকে বুঝতে জানে,
ঠাকুরের কৃপায় বন্ধুও এবার জানে!
তাই আশা জীবনকে খোঁজে,
আর জীবন আশায় সাজে,
ধীরে ধীরে পথ চলার মাঝে,
সুরের আলো বীণায় বাজে!
-- ভাস্কর ঘোষ
বুধ, 19 নভেম্বর 2025
সকল 7টা, পাটনা
(ছবিটি perplexity AI দিয়ে তৈরি)
No comments:
Post a Comment